স্পোর্টস ডেস্ক: প্রায় এক যুগ পর এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে ঢাকায় পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুই দলের মুখোমুখিতে আজকের (শুক্রবার) আগে এটিই ছিল একমাত্র জয়। যে ম্যাচে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শততম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু, শচীনের সেই স্পেশাল দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দেননি সাকিবরা। আজও রোহিতদের ব্যর্থতার দিনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিল। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না।
ক্রিকেট ইতিহাস এবং শক্তিমত্তার বিচারে দুই দলের মাঝে ব্যাপক পার্থক্য থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের দ্বৈরথ বাড়তি উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপ ২০১৬ এবং ২০১৮ ফাইনালে বাংলাদেশের হার, ২০১৫ বিশ্বকাপে বিতর্ক আর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের দারুণ ফলাফল এই ম্যাচের প্রতি যোগ করেছে বাড়তি উন্মাদনা। এশিয়া কাপে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও উত্তাপ ছিল তুঙ্গে।
শুক্রবারের ম্যাচে দুই দলের লড়াইটাও হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, সাকিব বাহিনীর ভারতবধে অভিনন্দন জানাতে ভুলেননি সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে টাইগার বাহিনীকে অভিনন্দন জানান।
তামিম ছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। পারিবারিক কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে না পারা মুশফিক স্পেশাল জয়ের নেপথ্য কারিগর অভিষিক্ত জুনিয়র সাকিব, মেহেদী ও হৃদয়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। এছাড়া সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন উইকেট কিপার এই ব্যাটার।
এদিকে, নেতৃত্ব হারানোর পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে প্রথমবারের মতো পোস্ট করলেন তামিম। এর আগে বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমের তরফে তার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
এশিয়া কাপে দলের দুরবস্থা নিয়ে সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘খেলা নিয়ে এখান থেকে মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ যারা ওখানে আছে, আমি নিশ্চিত তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেবল আমি দলে নেই, বাইরে আছি দেখে একটা কমেন্ট করে দিলাম। আমি তেমন লোক না। আমিও দলেরই অংশ। নিজেকে তাড়াতাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করছি যেন সুযোগ এলে সেরাটা দিতে পারি। খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করা উচিত না বলে মনে করি।’